ফেব্রুয়ারি, মার্চ দুই মাস মিলিয়ে অমর একুশে বইমেলা শেষ হলো। বাংলা একাডেমির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, এবার বিক্রি হয়েছে বায়ান্ন কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকার বই। গত বছর ভর করোনাকালের হিসাব বাদ দিলে এর আগের বছর, ২০২০ সালে, বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি টাকার বই। সেই হিসাবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা কম বিক্রি হয়েছে। একই সময়ে বাংলা একাডেমির বই বিক্রি কমেছে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা।
বই বিক্রি যেখানে বাড়ার কথা, সেখানে বিক্রি কমা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। করোনার অভিঘাতে মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যারা মূলত এ দেশে বইয়ের প্রধান ক্রেতা, সংকটে পড়েছেন। সংসার খরচ কায়ক্লেশে চালিয়ে তাদের হাতে আর বাড়তি টাকা থাকছে না। বই বিক্রি কম হওয়ার এটা অন্যতম কারণ বলে মনে হয়।
আবার ভালো বইয়ের অভাবও কারণ হতে পারে। গুণমান ভালো না হলে সে বই ক্রয় করার মানে নেই। আবার মোটের ওপর বাঙালির পঠনপাঠনের আগ্রহ ও ইচ্ছা বেড়েছে বলেও মনে হয় না।
এ বছর মেলায় যত নতুন বই এসেছে, এর মধ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও কবিতার বইয়ের আধিক্য। এরপরে কথাসাহিত্য। এর মধ্যে গল্পের বই কখানা বেশি, এরপরে উপন্যাস। প্রবন্ধ, গবেষণা, অনুবাদের বই খুবই কম। এর মানে হচ্ছে, লেখকদের মধ্যে বড় পরিসরে ভাবনা-চিন্তা কমে গেছে।
বাঙালি চিরকালই কবিতার পক্ষে। বাঙালির মজ্জায় মিশে আছে কবিতা। বাংলার নদী, তা যতই শীর্ণকায় হোক, বাংলার সবুজ জমিন, তা যতই সীমিত হোক, ফসলের খেত, তা যতই কম বৈচিত্র্যপূর্ণ হোক, কবিদের মনে কবিতার নয়া নয়া উপাদান নিয়ে হাজির হয়। আর প্রেম তো আছেই। হৃদয়ে প্রেম এলেও কবিতা, আবার চলে গেলেও কবিতা। এর বাইরে আমাদের অপরাজনীতি, সীমিত গণতন্ত্র চর্চা, মানবাধিকারের লঙ্ঘন কবিদের না ভাবিয়ে, না কাঁদিয়ে পারে না। এ ছাড়া যাপিত জীবনের সাফল্য, ব্যর্থতা, হতাশা, রূপ, রস, বোধ তো আছেই। সবকিছু নিয়েই তো কবিতা হতে পারে! না হলে কবিতার বই এত বেশি হয় কী করে! আবার কিছু কিছু কবিতা আছে, যার জন্য কিছুই প্রয়োজন হয় না। এমনিতেই কবিতা হয়ে যায়!
অন্যদিকে কথাসাহিত্য বা প্রবন্ধ একটু সময়সাপেক্ষ বিষয়। চটজলদি করা যায় না হয়তো। তাই এসব বইয়ের সংখ্যায়ও কম।
বইমেলার একটা মাস বাঙালির ভালো কাটে। একটা উৎসব উৎসব আবহ মনে ও মননে তৈরি হয়। বিশেষ করে রাজধানীর বাসিন্দাদের অনেকেই বইমেলায় যান, কেউ পরিবার নিয়ে যান। ঢাকার বাইরে থেকেও অনেকে বইমেলা উপলক্ষে রাজধানীতে আসেন, ঘোরেন, ছবি তোলেন। লেখক, প্রকাশকদেরও বিশেষ সময়, আনন্দের সময় কাটে। বেচাবিক্রির হিসাব মেলানো, খবরের কাগজে, টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়া, বিজ্ঞাপন ছাপানো, ভক্তদের সময় দেওয়া, ভালোই চলে।
বইমেলা বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অংশ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন- প্রতিটি আন্দোলন, সংগ্রামেই অনন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে হাজির হয়েছেন এ দেশের লেখক তাদের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে। তাই বইমেলা অন্য আর দশটা মেলার মতো নিছক একটি মেলা নয়। এটা অবশ্যই বিশেষ কিছু।
বইমেলা যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে? নাকি এর গুণগত উৎকর্ষতার জন্য আরও কিছু করার আছে? এটা একটা বড় প্রশ্ন। এ জন্য আমরা পাঠক, প্রকাশক, লেখক ও বাংলা একাডেমির দৃষ্টিকোণ থেকে বইমেলা বিশ্লেষণ করতে চাই।
একটি ভাত টিপলেই মেলে হাঁড়ির খবর
মেলায় যত দর্শক আসেন, সবাই বই কেনেন না, বই পড়েনও না। বোধ করি, এর ক্ষুদ্র একটি অংশ কেবল বইয়ের পাঠক। ঢাকা শহরে বেড়ানোর জায়গা সীমিত। বইমেলা প্রাঙ্গণ সত্যিই বেড়ানোর একটি মোক্ষম জায়গা। বড় পরিসর, রঙিন আলো, লেকের পাশে বেদি, হাতের নাগালে চা, কফি, আইসক্রিমের উপস্থিতি- মেলা প্রাঙ্গণে হাজারো দর্শককে টেনে আনে। বন্ধু-স্বজন পরিবেষ্টিত হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা, সেলফি চলে। এটা মন্দ কিছু নয়, কারণ আজ যে ছেলেটি বা মেয়েটি মেলায় এসে এ রকম আড্ডা দিচ্ছে, একদিন সে বইয়ের স্টলে যাবে, বই হাতে তুলবে এবং বইও কিনবে বলে আশা করা যায়। আর আড্ডা দেওয়া দোষের কিছু নয়। মেলার সার্বিক পরিবেশ ভালো রাখতে আড্ডা ভ‚মিকা রাখে!
এবার দেখা যাক পাঠকের দৃষ্টিকোণ থেকে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্ত সময়। বই একটি লিখে ফেসবুকে আপলোড দিলেই হলো। বড় লেখক, মাঝারি লেখক, ছোট লেখক- সবাই এই কাজ করেন। এর মধ্য দিয়ে পাঠক বেশ প্রভাবিত হন। এরপর থাকে পরিচিত লেখকদের পীড়াপীড়ি। ফলে পাঠকের পক্ষে ভালো একটি বই বাছাই করে কেনা সহজ হয় না।
পাঠকদের একটি অংশ সাধারণত সংবাদপত্রের বইমেলা বিষয়ক প্রতিবেদন পড়ে কেনার জন্য বইয়ের তালিকা করেন। কিন্তু এখানেও তার পক্ষে কাঁটা বেছে মাছ খাওয়াটা কঠিন হয়। কারণ সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের নানা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় থাকে। সেই স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই তারা বইয়ের নাম প্রকাশ করেন, প্রচ্ছদ ছাপেন।
এমনিতে বইমেলায় মানহীন, হাবিজাবি বইয়ের সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। অনেকেই বই কিনে প্রতারিত হয়েছেন বলে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন, ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। লেখক, গবেষক আমীন আল রশীদ লিখেছেন, তিনি যেসব বই কিনেছেন, এর একটি বড় অংশই পড়ে এগোতে পারছেন না। এমন অভিমত অনেকেরই।
পাঠক যদি কারও কথায় প্রভাবিত না হয়ে, চোখ, কান খোলা রেখে এবং নিজে উল্টেপাল্টে দেখে, যাচাই করে কেনেন, তবে হয়তো সেরা বইটি তাঁর ঝুলিতে ঢুকতে পারে। এক্ষেত্রে যা করা যায়, তা হলো, বইয়ের লেখক ও প্রকাশক সম্পর্কে জানা, বইয়ের সূচিপত্র দেখে নেওয়া, ফ্ল্যাপের লেখাটি পড়া এবং বইয়ের ভেতর থেকে একটি পৃষ্ঠা পড়া। ভাত একটি টিপলেই পুরো হাঁড়ির খবর পাওয়া যায়। তাই পাঠকের বিচক্ষণ হওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই।
তাহারা ‘সুন্দরী লেখক’
লেখকেরা বই প্রকাশ নিয়ে বেশ ইমোশনাল থাকেন। বিশেষ করে সেটা যদি প্রথম বই হয়। ধরা যাক, লেখক একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। চাকরিও করেন উঁচু ও দায়িত্বশীল পদে। কাজের ক্ষেত্রে সুবিচেনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সবার কাছে পরিচিত। কিন্তু এই ব্যক্তি যখন বই প্রকাশ করতে আসেন, তখন তার বিচক্ষণতা, পেশাদারি মনোভাব কোথাও যেন উড়ে চলে যায়। তিনি কিছুই বুঝতে চান না! শেষ পর্যন্ত বই একটা হাতে তার আসে বটে, তবে সেটা অনেক কাঁচা হয়। তখন আর আফসোস করে, কেশ উৎপাটন করেও কোনো ফল হয় না।
তবে মোটের ওপর বইমেলা এই নতুন লেখকদেরও মন্দ যায় না। কারণ বই বিক্রি এদের মূল উদ্দেশ্য থাকে না। নিজেদের পরিচিতি, বন্ধু মহলে জানান দেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ থাকে। ফেসবুকে বইয়ের কভার পোস্ট করে লাইক, কমেন্ট পেলেই তারা যেন খুশি। এদের অনেকেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ সক্রিয় থাকেন, ভিডিও বানান, পেজ খোলেন। বইমেলার মাসটি পার হলেই আবার আগের মতো, যে যার কাজে! দুই-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনই ঘটে।
পাণ্ডুলিপি যদি প্রস্তুত থাকে, তবে ফেব্রুয়ারি লক্ষ রেখে বই প্রকাশ করার মধ্যে কোনো কসুর নেই। সেটা অবশ্যই কাজ শুরু করা উচিত জুন মাস থেকে। কিন্তু আমাদের অনেক লেখক আছেন অক্টোবরের আগে তাদের কোনো হেলদোল থাকে না। অক্টোবর মাস পেরিয়ে গেলে তারা তোড়জোড় শুরু করেন। হঠাৎ দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে ওঠেন যেন। অধিকাংশ প্রকাশকই এ সময় কোনো দায় নিতে চান না। পাণ্ডুলিপি প্রুফ দেখানো, প্রচ্ছদ আঁকা, সমস্ত কাজ করতে হয় লেখককে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই লেখকেরা টাকা দিয়েই বই প্রকাশ করেন। তারা কোনো রয়ালিটির আশা করেন না। সাধারণত পরবর্তী মেলায় তাদের বই আর স্টলে পাওয়া যায় না। এগুলোকেই বলা হয়, এক মেলার বই।
মেলায় এক শ্রেণির লেখক আছেন, যারা কেবল তাদের শ্রেণিভুক্ত লেখকদের পরস্পর পৃষ্ঠমাজন করে থাকেন। আজ ‘ক’ নামের লেখককে বিশ্বের সেরা লেখক বলে রায় দেন ‘খ’ নামের লেখক। পরেন দিন ‘খ’ নামের লেখককে ব্রহ্মাণ্ডের সেরা লেখক বলে ঠাওরান ‘গ’ নামের লেখক। ইদানীং এসব মঞ্চনাটক বেশ চলছে।
এই লেখকদের আবার নিজস্ব মুরব্বি আছে। এই মুরব্বিদের কাছ থেকেও তারা প্রয়োজনমতো ‘উৎসাহ, ¯স্নেহ’ পান। তবে এই লেখকের, নিজেদের যতই ধূর্ত মনে করেন না কেন, পাঠকের আর বুঝতে, চিনতে বাকি নেই।
আর কিছু লেখক আছেন, যারা মেলায় এলে তাদের বই বিক্রি বাড়ে। তারা হাসিমুখে অটোগ্রাফ দেন, এরপর ফটোগ্রাফ হয়।
আমার এক বন্ধুর অভিমত, লেখক যদি দেখতে আকর্ষণীয় হন, পাঞ্জাবিটা বা শাড়িটা যদি ভালো হয়, তার বই বিক্রি বাড়ে! বইয়ের ভেতরে কী আছে, তা অনেক সময় আমরা বিবেচনায় নিই না, যাচাই করি না। ‘সুন্দরী লেখকে’র বই কিনে, ছবি তুলে ধন্য হই।
এরপরেও গুণী, আত্মমর্যাদাশীল লেখকও, তা সংখ্যায় যতই কম হোক, আমাদের আছে। তারা সাহিত্য সাধনায়, গবেষণায় নিমগ্ন থাকেন। তাদেরও নাম হয়তো কম মানুষ জানে। তারা পৃষ্ঠপোষকতাও কম পান। তবু সাধনা থেকে তারা বিচ্যুত হন না। তারা যে দলের, যে মতেরই হোন না কেন, এই লেখক, গবেষকদেরও আমরা কুর্নিশ করি। তাদের নিমগ্ন শ্রদ্ধা জানাই।
প্রকাশকদের পেশাদারির কী হবে
প্রকাশকদের দিক থেকে বইমেলা বিশ্লেষণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ জায়গা থেকে নতুন কিছু বলা সবচেয়ে কঠিন। সাম্প্রতিক যে প্রবণতা আমরা দেখছি, তা হলো এক শ্রেণির প্রকাশকের মধ্যে পেশাদারির খুব অভাব। লেখকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা বই প্রকাশ করেন। এর চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, পাণ্ডুলিপিটিও তিনি বা তার প্রতিনিধি কেউ পড়ে দেখেন না। টাকা নিয়ে বই প্রকাশের চল নতুন কিছু নয়, তবে পাণ্ডুলিপি পড়ে না দেখা গর্হিত অপরাধ। অধিকাংশ প্রকাশকের দপ্তরে কোনো পেশাদার সম্পাদক নেই। ফলে বই সম্পাদনা হয় না বললেই চলে। পাণ্ডুলিপি বাছাইয়ের জন্য কোনো কমিটি নেই। এমনকি ঠিকমতো প্রুফও দেখানো হয় না। প্রকাশকের লক্ষ্য কেবল লাভ করা। কোনোভাবেই লস করতে চান না তারা।
সব প্রকাশক এক রকম নন। অনেক প্রকাশক আছেন, যাদের পেশাদার সম্পাদক আছে। যারা বইটি পছন্দ না হলে লেখককে ফেরত দেওয়ার মতো সাহস দেখাতে পারেন। লেখকের সঙ্গে চুক্তি করেন, ঠিকমতো রয়ালিটি দেন। এদের সংখ্যা খুবই কম।
বংলা প্রবন্ধ ও গবেষণা সাহিত্যকে আরও উৎসাহিত করা দরকার। এ বিষয়ে প্রকাশকদের মধ্যে কোনো স্পষ্ট ভাবনা আছে কি?
এ বছর বইমেলায় গুণমান নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। প্রকাশকদের কেউ কেউ দোষ স্বীকারও করেছেন। কিন্তু কোনো পরিবর্তন আসবে কি? সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এই বইমেলাটা আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। ভালো-মন্দ সবকিছুর দায় তাদের। মেলাটা ৩০ দিন নাকি ১৫ দিন হওয়া উচিত এটা নিয়ে অনেকেই বক্তব্য দিয়েছেন। আমার মনে হয়, এক মাসব্যপী মেলা ঠিক আছে। আর বইমেলাটা প্রকাশকদের কাছে না ছেড়ে বাংলা একাডেমির কাছে থাকাই বাঞ্চনীয়।
তবে বাংলা একাডেমিও তাদের মূল কাজ থেকে সরে গেছে। সাহিত্য গবেষণা ও বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়াই এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে তাদের বইয়ের সংখ্যা দিন দিন কমছেই।
বইমেলায় এত এত বই প্রকাশিত হয়। কিন্তু কয়টা বইয়ের পর্যালোচনা হয়? পর্যালোচনার অভাবে অনেক ভালো বইয়ের কথা পাঠকের কানে পৌঁছায় না। আবার আমরা বাজে বইয়ের ভালো পর্যালোচনা ও অযথা বিতর্ক সৃষ্টি হতে দেখি, যাতে কাটতি বাড়ে। দুর্জনের ছলের অভাব নেই।
দুটো বিষয় গুরুত্ব দিলে বইমেলার সার্বিক গুণগত মান বাড়বে। এক. প্রকাশকেরা যদি প্রতিটি বই সম্পাদনার ব্যবস্থা করেন। দুই. আমরা যদি প্রকাশিত বইয়ের পর্যালোচনা বাড়াতে পারি। এই দুই বিষয়ে গভীর আলোচনার প্রয়োজন আছে।
লেখক : কাজী আলিম-উজ-জামান, সাংবাদিক, কবি ও প্রাবন্ধিক।
নোট : নিবন্ধটি এবং বই এর প্রিন্ট সংস্করণ চতুর্থ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা, এপ্রিল-জুন ২০২২ সংখ্যায় প্রকাশিত।
আরও পড়ুন…