আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন কফিল আহমেদ ও আফরোজা সোমা

কিশোরগঞ্জ জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রয়াত আবু খালেদ পাঠান স্মরণে ‘আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার’ ২০২৪ ঘোষণা করা হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, বিশিষ্ট কবি ও সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদ এবং কবি ও প্রাবন্ধিক আফরোজা সোমা।

শীঘ্রই নির্বাচিত দুই কবি ও লেখকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। প্রত্যেককে পুরস্কারের নগদ অর্থমূল্য ২৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২৪ এর আহ্বায়ক ও এবং বই সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ

বিশিষ্ট কবি ও সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদ এবং কবি ও প্রাবন্ধিক আফরোজা সোমা। ছবিসূত্র : কফিল আহমেদ এর ফেসবুক পেজ

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশিষ্ট চিন্তক ও শিক্ষাবিদ আবু খালেদ পাঠান ১৯৩৭ সালের ২৬ জুন বৃটিশ ভারতের তদানিন্তন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি প্রায় ৩৫ বছর শিক্ষকতা করেছেন। যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সঙ্গেও। কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠায় অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি। লেখালেখি করেছেন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা ও সাময়িকীতে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুভার পালন করেছেন। ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর তিনি প্রয়াত হন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি কফিল আহমেদ-এর জন্ম ১৯৬২ সালে বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায়। তিনি মূলত লিটল ম্যাগাজিনকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চায় মনযোগি ছিলেন। জড়িত ছিলেন সাহিত্য কাগজ ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য’, ‘নদী’, ‘ফৃ’, ‘দামোদর’, ‘নান্দীপাঠ’ এবং ‘মান্দার’-এর সঙ্গে। ‘ঘোড়াউত্রা’র উদ্যোগে কফিল আহমেদ-এর গানের সংকলন ‘পাখির ডানায় দারুণ শক্তি গরুর চোখে মায়া’ প্রকাশ পায় ২০০১ সালে। এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘উড়কি’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় ‘রোজ তাই কথা বলে আমার কবি’ শিরোনামের গ্রন্থ।

কবি ও প্রাবন্ধিক আফরোজা সোমা পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। অধ্যাপনা করছেন সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্টাডিজ বিষয়ে। ‘জেন্ডার’ ও ‘গণমাধ্যম’ তাঁর কাজের অন্যতম প্রধান বিষয়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ৭টি গ্রন্থ। এর মধ্যে কবিতার বই ৫টি এবং প্রবন্ধ ও গবেষণাগ্রন্থ ২টি। জেন্ডার ও গণমাধ্যম বিষয়ক তাঁর প্রবন্ধ-গ্রন্থের নাম ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’ ২০২১ সালে এবং গণমাধ্যম-তত্ত্ব ও নজরদারি বিষয়ে ২০২৪ সালে বেরিয়েছে তাঁর গবেষণা-প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ম্যাকলুহান: গণমাধ্যম, নয়ামাধ্যম ও সমাজ’। তাঁর কবিতার প্রথম বই ‘অন্ধঘড়ি’ প্রকাশ হয় ২০১০ সালে।