কলেজস্ট্রিট থেকে পর্ব- ৫

লেখক রাজু বিশ্বাস। প্রথম গল্পের বই—ভাঙনকাল। ভাঙনকাল নামেই একটা গল্প আছে এই সংকলনে। একটি গরিব চাষী মেয়ে ভালবাসত একটা ছেলেকে। সেই প্রেমিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে মেয়েটার গোপন ছবি ছড়িয়ে দেয়। তারপর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া মেয়েটার আর কোন রাস্তা থাকে না। বছর দশ-বারো আগে যখন মোটামুটি ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া গ্রামবাংলায় জয়যাত্রা শুরু করেছে ঠিক তখন লেখা এ গল্প আজও রাজুর পরিচিতি। শুধু ঐ গল্পটাই নয়, বইটার সবকটা গল্পই বেশ পাঠকপ্রিয় হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত দুটো এডিশন বেরিয়েছে বইটার।  একদিন কথায় কথায় রাজুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। এতগুলো বছর চলে গেছে! সময়ের সাথে চারপাশের সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতিও বদলে গেছে।

অনেকেই এইসব নানা কারণে নতুন নতুন এডিশন বেরোনোর সময় গল্পে কিছু কিছু বদল আনে। তো, পরের এডিশন যখন বেরোবে তখন কি ভাঙনকালেও কিছু বদলাবে? উত্তর পেয়েছিলাম, বদলাবে। তবে গল্পে নয়, প্রচ্ছদে। মনে পড়ল দুটো এডিশনেই আলাদা আলাদা প্রচ্ছদ দেখেছি। সাধারণত কোনো বই পাঠক গ্রহণ করলে তার প্রচ্ছদটা বই-এর পরিচিতি তৈরি করে দেয়। এখন যতই লেখার গুণে কোনো বই জনপ্রিয় হোক না কেন, ঐ পরিচিতিকে ভুলিয়ে দিয়ে আবার নতুন করে পরিচিতি তৈরি করা একটু ঝুঁকি বটে।  জিজ্ঞাসা করলাম, কেন ? প্রচ্ছদ পাল্টালে ঝুঁকি থাকছে, তাও কেন? রাজু স্মিত হেসে বলেছিল…বইটা যখন প্রথম বেরোয় তখন ঠিক লাগছিল। কিন্তু…নাহ্‌! কী একটা… কিছু একটা যেন প্রচ্ছদে ধরা দিচ্ছে না ! চুপ করে গেলাম, প্রশ্ন উকিঝুকি মারতে শুরু করল, ‘কী একটা কিছু’ ধরা দিচ্ছে না প্রচ্ছদে…কী বলতে চাইছে গল্পকার? কিছুদিন পরে বইপাড়া কলেজস্ট্রিটের ফুটপাতে বেশ পুরোনো, বিশ্বভারতী থেকে বেরোনো একটা ‘চার অধ্যায়’ উল্টেপাল্টে দেখছিলাম। সেই আইকনিক প্রচ্ছদ। একবার দেখেই যে কেউ বলে দেবে বিশ্বভারতীর বই, রবিঠাকুরের বই। আচমকাই মনে পড়ে গেল রাজুর সেই কথা…প্রচ্ছদে ধরা দিচ্ছে না, ‘কী একটা কিছু’।

ছোটবেলায় পড়ার বই হোক কিম্বা উপহারে পাওয়া ছেলেদের রামায়ণ, মহাভারত, পাগলা দাশু, রবিনসন ক্রুসো, গ্যালিভারস ট্র্যাভেলস, অলিভার টুইস্ট, সব বইতে খবরের কাগজের মলাট দিয়ে দেওয়া হত। বাচ্চা ছেলে বই নষ্ট করে ফেলব। আর আমরা সুযোগ পেলেই সেই মলাট খুলে ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। জটায়ুর সাথে রাবনের যুদ্ধের  ঐ রঙিন ছবি অনেক পরে জেনেছি যাকে প্রচ্ছদ বলা হয়; সেই ছবি দেখে যেন যুদ্ধেই জড়িয়ে পড়তাম। আরও অনেক অনুভূতি। বই পড়তে পড়তে সেইসব অনুভূতি কতটা কীভাবে কাজে লেগেছে জানি না। কিন্তু আজও রামায়ণ বললেই প্রথমেই সেই ছবিটা ভেসে ওঠে। এটা কি ঐ বইয়ের আত্মা? কিন্তু ছোটদের জন্য হলেও রামায়ণ তো শুধু যুদ্ধের কথা বলে না। বাবা-মা-পরিবারের জন্য আত্মত্যাগ, দুষ্টের দমন- শিষ্টের পালন ইত্যাদি যেসব আদর্শ শিশুদের জন্য জরুরি সেসব অনেক কিছুই তো ছেলেদের রামায়ণের উপজীব্য। কিন্তু ঐ যুদ্ধের মলাট কি তা বলে?

আজ এই বয়সে পৌঁছে বুঝতে পারি, নিজের প্রাণ বিপন্ন করে অসহায় নারীকে উদ্ধার করার জন্য জটায়ুর মরনপণ যুদ্ধের ছবি রামায়ণের অন্যতম শিভাল্যরির আদর্শকে ঐ শিশু বয়সেই মনের মধ্যে বুনে দিতে পেরেছিল। এই আদর্শ অবশ্যই ঐ মহাগ্রন্থের আত্মা না হলেও সেই আত্মাকে কিছুটা তো স্পর্শ করা যায় এভাবেই। একইভাবে রবি ঠাকুরের যে রচনাই হোক তাতে তাঁর মানবপ্রেম আর সৌন্দর্যচেতনার বিশ্ববীক্ষা থাকেই। পুরোনো ঐ ‘চার অধ্যায়ের’ আইকনিক নির্বিশেষ  প্রচ্ছদেও সেই বিশ্ববীক্ষা ফুটে ওঠে আজ অনুভব করি।  রাজুর বই বা প্রচ্ছদের সাথে এইসব ক্লাসিক গ্রন্থের তুলনা হয় না। কিন্তু এমনসব ক্লাসিক গ্রন্থগুলোর প্রচ্ছদ নিয়ে যদি সেই মহান লেখকেরা আজ মূল্যায়ণ করতেন, কী ভাবতেন তাহলে! এমন একটা বেয়াড়া অবান্তর প্রশ্ন হাজির হয় এবং সযত্নে তাকে দূর করেও দিতে হয়!   

মধ্যযুগের ইউরোপে হাতেলেখা ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর পাতায় পাতায় ছবি, নক্সা আঁকা হত। স্থায়িত্ব দেওয়ার জন্য ছাগলের চামড়া, হাতির দাঁত, সোনা, রুপো দিয়ে বইয়ের মলাট তৈরি হত, তাতেও নক্সা, প্রতিমূর্তি ইত্যাদি থাকত। এদেশের তালপাতার পুঁথিতে অবশ্য তেমন মলাটের বালাই ছিল না। ছাপাখানা আবিস্কার হওয়ার পর থেকে কাগজে ছাপা বইয়ের কদর যেমন বাড়তে লাগল তেমনই  কাপড় আর মোটা কাগজের বোর্ড দিয়ে কীভাবে নতুন নতুন মলাট তৈরি করা যায় সেই প্রচেষ্টা শুরু হল। এভাবেই চলতে চলতে বিশ শতকের দুই আর তিনের দশকে রাশিয়ায় কাগজের মলাটের ওপরে চিত্রশিল্পীরা; মূলত পোস্টার আঁকিয়েরা ছবি এঁকে শুরু করলেন প্রচ্ছদ শিল্পের জয়যাত্রা। এসব ইতিহাস। এখন প্রকাশনার জগতে প্রচ্ছদ একটা আবশ্যিক বিষয়। বইয়ের ভিতরের তথ্য দেওয়ার জন্য কিম্বা কিছুটা বিজ্ঞাপন করার জন্য প্রতিটা বইয়ের ঠিকঠাক প্রচ্ছদ হওয়া খুবই দরকার। আর এই, এখনকার অন-লাইন বাজারে যেখানে হাতে ঘেঁটে, উলটে-পালটে বই দেখে নেওয়ার উপায় নেই সেখানে বই-এর প্রচ্ছদের গুরুত্ব আরও অনেক অনেক বেশি। কখনও কখনও ক্রেতার পক্ষে বইটার ডেসক্রিপশান পড়ারও সময় থাকে না। প্রচ্ছদের ছবি দেখে অর্ডার দিয়ে দেয়। আবার বইয়ের দোকানে, বইমেলাতেও অনেকেই এমন আছে যারা শুধু প্রচ্ছদের ছবি, রঙ ইত্যাদি দেখেই বইটি কিনে ফেলে। আজকের ডিজিটাল যুগেও তাই বই নির্মাণ আর বিক্রির জন্য প্রচ্ছদের কদর বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রচ্ছদশিল্পী, যারা প্রচ্ছদ করছেন তারা কী ভাবেন, ভাবছেন প্রচ্ছদ সম্পর্কে!

আরও পড়ুন…কলেজস্ট্রিট থেকে – পর্ব ৩

কলেজস্ট্রিটে হরেক রকম প্রচ্ছদ শিল্পী। এখন প্রযুক্তি বেশ সহজ। ইন্টারনেটের কিছু ছবি ডাউনলোড করে, সেগুলিকে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে ফেলে একটা বইয়ের প্রচ্ছদ বানিয়ে ফেলা যায়।  আবার শিল্পী তুলিতে-কাগজে বা কম্পিউটারেও মূর্ত, বিমূর্ত ছবি এঁকে প্রচ্ছদ সৃষ্টি করতে পারে। লেখকদের যেমন শ্রেণিবিভাগ আছে তেমনই প্রচ্ছদ করিয়েদেরও ভাগ আছে। যেসব বই শুধুই তথ্য দিয়েই ক্ষান্ত হয় তার লেখক, প্রকাশক তেমনই প্রচ্ছদ নির্বাচন করেন।  টেক্সট বই, রেফারেন্স বই, সমালোচনার বই,  বাজারি পরীক্ষা উতরানোর  মেড ইজি এই ধরনের বই-এর লেখকদের মধ্যে যদি বোধ-মেধা-সৃষ্টিশীলতা থাকলে তাহলে প্রচ্ছদেও সৃষ্টিশীলতা থাকে। আমাদের কিশোরবেলায় কেশব চন্দ্র নাগের যে অঙ্ক বই ছিল বা ফনীভূষণ আচার্যের যে ব্যাকরণ বই ছিল তার প্রচ্ছদ দেখে বেশ একটা ভাললাগা মনে আসত যার জন্য হয়ত ঐসব বইয়ের অঙ্ক বা ভাষার সূত্র ইত্যাদিকে ভয় লাগত কম।

কিন্তু চিন্তাশীলতার নানা বই, সংস্কৃতির বই ও সাহিত্য এবং এই ধরনের পত্রিকার লেখকরা যেহেতু সৃষ্টিশীল তাই তাদের বইয়ের প্রচ্ছদে তথ্যের বাইরেও সৃষ্টিশীলতার একটা অনিবার্য ছাপ থাকতেই হয়। এই কারণে যারা  চিত্রশিল্পী তারাই এইসব বইয়ের প্রচ্ছদ করে। কিন্তু এই সময়ে যারা সিরিয়াসলি আঁকছেন, যারা ইউরোপের ছবি-শিল্পের আন্দোলনের ইতিহাস, যারা চীন, জাপান, মধ্য এশিয়া, ভারতবর্ষের শিল্পের নানা পর্যায়, পৃথিবীর রকমারি লোকশিল্পকে খুব ভাল করে জানেন একইসঙ্গে এটা যাদের বোধের মধ্যে আছে চিত্রশিল্পের স্বাভাবিক গতি মূর্ততা থেকে বিমূর্ততার দিকে তারা যখন একটি বইয়ের প্রচ্ছদ করবেন, তারা কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বইয়ের প্রচ্ছদ করেন বা করবেন? শুধুই কি বইটির বিষয়বস্তু বা তার লেখকের কথা ভেবে? নাকি তার বাইরেও শিল্পের আসল চাহিদা সেই সৃষ্টিতে খেলা করে যায়?

এই সময়ের কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত ও অত্যন্ত গুণী প্রচ্ছদশিল্পী দেবাশীষ সাহা। প্রচ্ছদশিল্পে অবদানের জন্য সম্প্রতি একটি প্রেস্টিজিয়াস পুরস্কার পেয়েছেন। এক আড্ডায় তিনি এই ব্যাপারে অনেক কথা বলেছিলেন। যতটা মনে আছে তার সারবস্তু এমনই দাঁড়ায়, তিনি বইয়ের পুরো বিষয়টাই মাথায় রেখে কাজ শুরু করেন কিন্তু কাজটা করতে করতে কখন যেন প্রচ্ছদটা একটা স্বতন্ত্র ছবি হয়ে ওঠে। তার করা বিভিন্ন প্রচ্ছদ, শুধু তার মত প্রথিতযশা শিল্পীরই কেন, নামী, অনামী বহু প্রচ্ছদ শিল্পীর কাজ দেখলে ঠিক এমনটাই মনে হয়। একদিকে বইটি তখনই তুলে নিতে ইচ্ছা করে সেলফ থেকে আবার শুধুই একটা ছবি বা একটা সৃষ্টিকর্ম হিসাবে বারবার ঐ প্রচ্ছদটিকে দেখতে ইচ্ছে করে। যন্ত্রণা এটাই বাংলা বইয়ের ইতিহাস এতদিন হয়ে গেল, বইয়ের লেখকরা আমাদের মনের মণিকোঠায় অথচ এইসব প্রচ্ছদ যারা আঁকছেন, আমরা কজন তাদের নাম জানি, তাদের অসাধারণ সব প্রচ্ছদ নিয়ে কটা প্রদর্শনী হয় এই ‘কালচারাল ক্যাপিটালে’?

শোনা যায় বড় বড় হাউসে প্রচ্ছদ নির্বাচনে লেখকের কোন গুরুত্ব নেই। বিশেষজ্ঞ শিল্পীদের দল সেখানে প্রচ্ছদ নির্বাচন করেন। তাদের কাছে লেখকদের লেখা, প্রচ্ছদ এবং আরও অনেককিছু নিয়ে একটা বই তৈরি হয়। সেই বইটা অবশ্যই একটা পণ্য। তার মুনাফা আছে, লোকসান আছে আর অবশ্যই বিনিয়োগ আছে। কিন্তু সিনেমা যেমন পরিচালকের; বইও তো আসলে লেখকের! প্রকাশক, পরিবেশকরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন। রোজগারও করে নেন। শেষ পর্যন্ত লেখক দিয়ে বইকে চেনা হয় বা বই দিয়ে লেখককে। সেখানে প্রচ্ছদশিল্পী কি পার্শ্বচরিত্র? যদি তাই হয়, এই কো-অ্যাকটরকেই বা কেমনভাবে নেন নায়ক? ‘বড়চর্চা’ করছি না কিন্তু এই কলেজস্ট্রিটে প্রথম দফার প্রকাশের সময়েই লেখকদের অনেকেই প্রচ্ছদ নিয়ে সন্তুষ্ট হছেন না দেখেছি।

ঠিক রাজুর মতই সেইসব লেখকেরা কেন তৃপ্ত হচ্ছেন না সেটাও ঠিকভাবে বলতে পারছেন না। মাঝারি বা ছোট বইবাজারের একটা নিয়ম আছে একাধিক প্রচ্ছদের নমুনা দিয়ে লেখককে বেছে নিতে বলা হয়। খুঁতখুঁতে লেখকেরা বহুবার এমনসব প্রচ্ছদ বাতিল করেন।  আবার এমনও হয়েছে, প্রচ্ছদশিল্পী জোর করে যে প্রচ্ছদ ঠিক করে দিয়েছে  সেই প্রচ্ছদ নিয়েই কোনো বই এত কপি বিক্রি হয়েছে যা লেখকের কল্পনার বাইরে! কলেজস্ট্রিটে গল্প আছে, কিংবদন্তী পত্রীসাহেব একবার নাকি বলেছিলেন প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে তার নাম থাকাটাই একটা বই বিক্রি হওয়ার গ্যারান্টি।

শুরু হয়েছিল রাজুর বই-এর প্রচ্ছদ দিয়ে। ওর প্রচ্ছদের গল্প নিয়েই শেষ করব। প্রথম এডিশনের প্রচ্ছদ করেছিল সাইফুল করিম। ছবির মানুষ, ফিল্মের মানুষ। এই বইটার সব গল্পেরই প্রথম শ্রোতা সাইফুল। তাকে জিজ্ঞাসা করায় সে প্রচ্ছদ নিয়ে বলেছিল একটা গল্পের বিশেষ জায়গা তার মনে রেখাপাত করেছিল সেটা এবং বাকি গল্পগুলোর মধ্যে যে আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা আছে তাই নিয়েই সে প্রচ্ছদ করেছিল। সে প্রচ্ছদে রাজু তৃপ্ত হতে পারেনি। পরের এডিশনে অন্য একজন শিল্পীর কয়েকটা কাজেও সে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। শেষে নিজে প্রচ্ছদ করেছিল তাতেও সন্তষ্ট হতে পারেনি।

কেন? লেখকের কি মনে হচ্ছিল যে এখনও পর্যন্ত কোন প্রচ্ছদই গল্পগুলোর ভেতরের তত্ত্ব, তথ্যাবলী জানাতে পারছে না অথবা গল্পগুলোর আত্মাকেও স্পর্শ করতে পারছে না! আচ্ছা! একজন লেখক প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় যেভাবে বদলে যান সেই বদলের কারণে তার নিজের লেখাই কি তার কাছে নতুন হয়ে প্রতিদিন ধরা পড়ে না? যারা লেখেন, তারা কি, কেউ সেই বদলকে একটা কাঠামো, একটা ফ্রেমের মধ্যে সব সময় ধরতে পারেন? আর এই অতৃপ্তির জন্যই কি আসল লেখক, মগ্ন লেখক নিরন্তর নিজের বই নিয়ে খুঁতখুঁত করতে থাকেন?  এই অতৃপ্তি, খুঁতখুঁতানিও কিন্তু একটি বইয়ের চিরকালীন নির্মাণের জন্য সত্যি। তাই হয়ত প্রচ্ছদের পরিবর্তনের কথা মনে হয়। কিন্তু প্রচ্ছদশিল্পী! তিনিও তো শিল্প-সরস্বতীর বরপুত্র। মহাকালের এক বিন্দু তুলির ডগায় নিয়ে একটি সুন্দর শিল্প-মুহূর্ত সৃষ্টি করে দিয়েছেন। বইয়ের বিষয়কথার বাইরে পাঠক-দর্শক হিসাবে তাও আমাদের কাছে অনেক বড় পাওনা। কলেজস্ট্রিট থেকে আজ এই পর্যন্ত। সবাই ভাল থাকবেন। 

আরও পড়ুন… কলেজস্ট্রিট থেকে