সাইফ বরকতুল্লাহ কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক। জন্ম ৩১ অক্টোবর ১৯৮৩ সালে, বাংলাদেশের জামালপুরে। তিনি একযুগেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। কাজ করেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যুক্ত ছিলেন আবৃত্তির সঙ্গেও। নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায়। বার্তাকক্ষ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনে। বর্তমানে রাইজিংবিডিতে সহকারী বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ- ‘১০টি প্রেমের গল্প’, ‘উপদ্রুত ঘাসের ভেতর’, ‘তেত্রিশ নম্বর জীবন’, ‘তিন নম্বর লোকাল’। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ (গবেষণা), ‘ব্লগ কী লিখবেন কেন লিখবেন কীভাবে লিখবেন’ (গণমাধ্যম), ‘পারুল’ (শিশু-কিশোর), ‘জ্যোৎস্না রাতের গল্প’ (কবিতা)। প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘ভিন্ন ভাষার সাহিত্য পাঠ’ (বিশ্বসাহিত্য), ‘ঘাসফড়িং জীবন’ (গদ্য), ‘বইমেলা অন্যচোখে’ (সাক্ষাৎকার-প্রবন্ধ)।
এবং বই : বইমেলা শুরু হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ। এর মধ্যে মেলায় গিয়েছেন?
সাইফ বরকতুল্লাহ : একবার গিয়েছিলাম। করোনার শঙ্কা পাশ কাটিয়ে মেলায় আসছেন বইপ্রেমীরা। তবে এবার শুরুর দিন থেকেই বইমেলা অনেকটা জমজমাট মনে হচ্ছে।
এবং বই : এবারের মেলার সার্বিক অবস্থা কেমন বলে মনে হয়েছে?
সাইফ বরকতুল্লাহ : ধূলাবালির সমস্যা বাদ দিলে এবারের বইমেলার পরিবেশ সুন্দর। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল এলাকাজুড়ে চলছে অমর একুশে বইমেলা। মেলার প্রথম শনিবার দেখলাম মেলায় প্রবেশের প্রতিটি গেটে ছিল উপচেপড়া ভিড়। মেলার আঙ্গিকে এবার কিছু পরিবর্তন এসেছে। বইয়ের সব প্যাভিলিয়ন-স্টল বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল অংশে রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অংশে রয়েছে খাবারের দোকান, নামাজের স্থান ও টয়লেট। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে প্রাণের বইমেলা।
এবং বই : একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে আপনার নতুন বই ‘১০টি প্রেমের গল্প’। বইটি সম্পর্কে বলুন?
সাইফ বরকতুল্লাহ : এবার বইমেলায় আসছে আমার চতুর্থ গল্পের বই ‘১০টি প্রেমের গল্প’। এটি প্রকাশ করছে জাগতিক প্রকাশন (স্টল নম্বর ৭২)। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন কাব্য কারিম। গুরুত্বহীন এমন কিছু বিষয়, যা আমাদের দিনযাপনের প্রাত্যহিকতায় ধরা দেয় না, হয়তো আমরা নিজেরাও সেভাবে মনে ঠাঁই দেই না। অথচ বিশেষ কিছু মুহূর্তের অনুষঙ্গে হঠাৎ-ই সেসব মাথার মধ্যে এসে ভিড় করে। রচিত হয় ‘বন্ধুত্ব’। এরপর প্রেম। প্রেমের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। আবার প্রেম অনেক সময় রহস্যময়তারও। এরকম ১০টি গল্প থাকছে এই বইয়ে। এই সংকলনের প্রতিটি গল্পের বিষয় ভাবনা প্রেম। প্রেমে মানুষ অনেক ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। প্রেমের অভিজ্ঞতায় ভালো ও মন্দ দুটোই আছে। সবার জীবনেই প্রেম আসে। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তবে এই প্রেমে পড়া বিষয়টি আমি পজিটিভ দেখি। এছাড়া এই গ্রন্থে প্রেমের গল্পগুলোতে রয়েছে বর্তমান সময়ের ব্যক্তিমানুষ ও সমাজের প্রতিফলন। অজস্র টানাপোড়েন সত্ত্বেও কোথায় যেন আমরা সবাই চলমান সময়ের কাছে জানু মুড়ে বসতে বাধ্য। প্রত্যেকটি গল্প আমাদের সবার জীবনেরই অঙ্গ, জীবনের ঘটনাবলির সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
এবং বই : আমরা দেখেছি একসময় জনপ্রিয় কবি ও লেখকদের প্রেমের গল্প, প্রেমের কবিতা, প্রেমের উপন্যাস প্রকাশিত হতো। এতে পাঠকের আগ্রহও ছিল। কিন্তু এখন আর তেমনটি দেখা যায় না। এর কারণ কী বলে মনে করেন?
সাইফ বরকতুল্লাহ : এখনো অনেক প্রেমের গল্প, উপন্যাস বের হচ্ছে। হ্যাঁ, তবে জনপ্রিয় লেখকদের এ ধরনের বই কম বের হচ্ছে। এর একটি কারণ হতে পারে এই সময়ে লেখকদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক, জীবনীভিত্তিক লেখার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার এমনও হতে পারে অনেক লেখকই প্রেম বিষয় লিখছেন-তবে সেগুলো হয়তো গণমাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম আলোচনায় আসছে। তবে তরুণ লেখকরা প্রেম বিষয়ক গল্প, উপন্যাস লিখছেন।
এবং বই : আপনার ‘১০টি প্রেমের গল্প’ পাঠকপ্রিয় হোক। শুভকামনা।
সাইফ বরকতুল্লাহ : অনেক ধন্যবাদ।