প্রিয় অবদমন হে ভুবন…
এক
মেঘমুলুকের ঠিক কতটা নীচে তোমার ধূসর বাড়ীটা, সঠিক জানিনা। পরাবৃত্তে কোনও নদী আছে কিনা, অচেনা পাখিদের জন্য দীর্ঘ বৃক্ষ– জানি না এসব। কতটা উঠলে কিম্বা নামলে, কতটা হাঁটলে প্রথম ওয়াইন-বার, প্লাজা, শপিং মল– ভাবছি না সে সব। ভাবছি রোদ তোমার নখের স্পর্শে আছে কি নেই, ভাবছি কুয়াশা তোমার ঘরটাকে আমাদের পৃথিবী থেকে আড়াল করে রাখে কি না! সারাদিন বৃষ্টিরেখা তোমাদের কতটা ভেজায় কিম্বা অপার্থিব সাদা জ্যোৎস্নায় দৃষ্টি ও নিঃশ্বাস পতন কিভাবে আড়াল রাখে প্রতিটি সর্বনাশ…
তোমার চোখ ও দৃষ্টির মধ্যে কতটা ব্যবধান, ইচ্ছা ও প্রতিস্থাপনের মধ্যে–
তোমার আকাঙ্খা ও অবদমনের কোন প্যারামিটার, ঘুম ও নৈঃশব্দ্যের মধ্যে প্রথম পছন্দ
তোমার পা এবং পথ, আচ্ছন্নতা এবং অবসাদ
ঠিক কিভাবে ব্যক্ত করো হে হৃদয়…
দুই
আলোচঞ্চল রেস্তোঁরার পাশে কোনও আর্ট-মিউজিয়ম, গতশতাব্দীর লুপ্ত প্রজাপতিদের জন্য সংগ্রহশালা
বিকার ও বিবমিষার জন্য সান্ধ্য কোনও ভ্রমণ-উপত্যকা, কিম্বা ধরা যাক
চূর্ণ চুলের রাশি ছড়িয়ে রাখা কিশোরীর শান্ত শিকারা , শিকারপ্রস্তুতি, নিয়মহীন হওয়ার স্বপ্নে তীব্র কাঁপন– এইসব–
ঠিক কখন তোমার নেশাসিক্ত চিবুক একমুঠো আঁধারের জন্য তুমুল হতে চায়
কিম্বা হাওয়ায় তোমার অসম্পাদিত ঠোঁটদুটো দিকবদলের ইশারায় কাঁপে
কেঁপে ওঠে দমকা বাতাসের মত পৃথিবীর আদি ঘূর্ণন…
প্রিয় ক্যাথিড্রাল বেজে ওঠে মধ্যরাত বিপন্ন ঘন্টায়
প্রিয় মধ্যরাত তোমাকে বাজায়
আমাদের নদী ও নৌকার প্রতিটি ঢেউয়ের তর্পণে…
……
কান্না কি এতই তুচ্ছ
সদর্থক হাসি মানে এই নয় যে
হাত ছুঁতেই ঝরে পড়বে
দীর্ঘ সব বনিয়াদ ভীত,
গড়ে ওঠা এযাবৎ
রম্য পাঁচিল দেওয়াল ইমারত ইত্যাদী…
বাসিন্দা বদলের গণিত ইমারত শিক্ষা রাখে প্রত্যেকটি বাঁধন ও গিঁটে
হাহা শব্দে হাসি সব ভেসে যায় তামাশার নগর কীর্তনে
তীর ও তরঙ্গের মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয়
অধিগত হয়নি যদিও একজন্ম বৃথা যাবে নাকি
হাসিকে পদকে বাঁধো অর্থহীনতার
কান্নার উৎসে এসে দাঁড়াও সুস্থির
আকাশ এখানে বড়
ব্যস্ত ও নীল
একজীবন তুচ্ছ মনে কোরে
হাত থেকে হাতের বাঁধন
দেখো ঢেউ উদ্দাম চলেছে কোথায়…
……
আরও পড়ুন – বাসব দাশগুপ্ত এর কবিতা ও কবিতা ভাবনা
কত আর প্রতীক্ষা, বলো
কি এমন কথা
বলতে বলতে
বারবার পাখিকে দিচ্ছ শিস
বাতাসকে মোলায়েম হাতের স্পর্শ
আর নীচু হয়ে তৎপর
মাটি থেকে তুলে নেয়া
দু-একটা বেদনার মত নরম কাঁকড়
কি এমন কথা
বলবে বলেই গত কাল অরণ্যে ঘুরেছো
তারও আগে গেয়েছো নদীর গান
বেদুইন তাঁবুর আড়ালে দুচোখে ওড়না বেঁধে
হাপুস কেঁদেছো
আজ যদি কথাগুলো শোনাবে বলেই
এতদূর জন্মের দীর্ঘতম পথের পাশে
ডেকে এনেছিলে
তথাপি নীরব কেন ওগো কথাকলি–
ফুল্লহাতে বাজাও সেই গোপন শঙ্খ
সমুদ্র গভীর যাকে প্রতিরাত শিখিয়ে গিয়েছে
সমস্ত কথাই উদযাপিত ধ্বনি-উৎসব
বস্তুত অনূদিত কান ও ওষ্ঠের
উষ্ণতম কাঁপন শিহরণ…
……
থাকা বা না-থাকা
আমার না-থাকাগুলো
কোনো অহঙ্কারের অংশ নয়
থাকা গুলোও
বাধ্যত বেদনার অংশ বলে বিবেচিত হবে না
অপমানিত হতে হতে
অপমান হারিয়ে ফেলেছে বিদ্ধতার কৌশল
করুণার ভিক্ষা পাত্র যেহেতু বাড়িয়ে রাখিনি
মহানেরা ফিরে গেছে
ভূষণে অক্ষমতা ছুঁড়ে সফল সড়ক বেয়ে দুর্দম
নিজেকে চিহ্নিত এক
নির্জন বলে জেনেছি অমোঘ
নিজেকে গুছিয়ে এনে
বসে আছি হিসেবহীন ‘কাল’কে জড়িয়ে
নারী বা নগ্নিকার নেশা তবু যায় না চিতায়
বেঁচে থাকা টের পাই কারো চোখ তবুও কাঁপলে
হে অরাজক
আরও কত বাঁচব বলোতো
আরও কতবার বেদনাকে হাসি দিয়ে
ভোলাবো অযাচিত রাতের মহিমা !
……
হে প্রেম হে ফুর্তি
তোমাকে দিনান্তের পাশে দাঁড় করিয়ে
সূর্যে হাঁটছিলাম–
আ্কস্মিক কিলবিল টের পাই পায়ের নিচেই
লাফিয়ে ভয়ে সরে গেলে যখন
আমাকে জীবনানন্দ পেলো…
ঝুঁকে দেখি
পায়ের নিচে ছড়িয়ে আছে
মৃত এক তেঁতুল বিছের শব, আওড়ে উঠি অজান্তেই–
যেন কবেকার মর্ত্য নীলিমার দড়ি বাঁধন ছিঁড়ে
চলে গেছে ভবের সাগর পাড়ি দিয়ে
জীবনানন্দ পাওয়া টের পেতেই
এত জোর ধাক্কা দিয়েছিলে
গড়ুরের লাথির মতোই
বিঁধেছিলো গায়ে, আমিও সহসা
দিগন্ত লোপাট ভেবে তোমাকে সাপ্টে নিয়ে
উদোম ঘাসের পরে আমাদের প্রথম সঙ্গম
মনে পড়ে আজ এই লোকালয় স্তব্ধ এত বিলীন সন্ধ্যায়–
তার পর থেকে জীবনানন্দ পেতে গেলেই
তোমার বিস্ফারিত চোখ মনে পড়ে
ফিরে আসি নিজের অক্ষরে
আলতো কানের কাছে কুহু ডেকে বলি
অনেকে যেমন বলে সেইসব কথা
প্রেম থেকে ব্যাকরণ ধুস হয়ে গেলে
কেবলই গোয়াল জুড়ে লেগে থাকে শ্বাস গোলযোগ
কিম্বা নিহীত মৃত্যু পাতাল ভ্রমণে
আমরাও খুঁজে যাই ঘুম ও জাগরণের এক আদি রসায়ন!
আরও পড়ুন – ইন্দ্রনীল সুমন এর কবিতা ও কবিতা ভাবনা
কবিতা ভাবনা
কবিতার রান্নাঘরে একা
১। কবিতা এক নির্ভেজাল আত্মরতি। সময় স্বদেশ মানুষ মহাকাশ এবং মহাজীবনের ভাবনায়, সহবাসে, পলায়ন প্রবৃত্তিকে আড়াল করতেও শব্দপ্রক্ষালনের মাধ্যমে সময়যাপন। এটা সত্য যে কবিতা লিখে সমাজ বদলানো যায় না, কিন্তু কবিতার আলোয় ব্যক্তিমানুষ নিজেকে নিজের মুখোমুখি দাঁড় করাবার সুযোগ পায়।
২। শব্দ নৈঃশব্দ্যের সঙ্গমক্রীড়ার থেকে ছিটকে আসা শীৎকার ধ্বনি কবিতায় রূপান্তরিত হয় দৃশ্যত শব্দ ও বাক্যে। একেকটি শব্দ ধারণ করে থাকে একেকটি রূপ-অবয়ব। সেই রূপ কখনও মূর্ত কখনও বিমূর্ত। কখনও মূর্তায়িত বিমূর্ত, কখনও বিমূর্তায়িত মূর্ত। কোনও শব্দ পিচ্ছিল, ধারাপাত হাতে নিয়ে ডেকে ওঠে শব্দ খেলতে, আবার কোনও শব্দ একাকার ঝরঝর শ্রাবণ ধারার মত নিমেষেই ভিজিয়ে দিয়ে বয়ে যায় অলক্ষ্য অতলে। বস্তুত নৈঃশব্দ্য শব্দকে দেয় আগুন ও আঁকশি কিংবা এমনও হতে পারে শব্দই সৃজন করে নৈঃশব্দ্যের সুদূর সাম্রাজ্যের নীল নক্সা। কান পাতলেই স্মৃতি ফিরিয়ে দেয় বালক বয়সে পড়া সেই বিখ্যাত উক্তি– When the bell stop, song begins.
৩। কবিতা যেন আলোর ভিখারি, একহাতে ধরে আছে অর্থের বাধ্যকতা অন্যহাতে অর্থহীন হওয়ার দৌড়। অর্থময় হয়ে ওঠা এবং তথাপি অর্থ থেকে নিষ্ক্রমণের চরম যুদ্ধে কবিতা অস্থির নিয়ত। কবিতা একাই অর্থময় হওয়ার তাড়নায় নিজেকে বিদ্ধ করে উপর্যুপরি, একইসাথে অপ্রতিরোধ্য অর্থহীন হওয়ার তাগিদে বধ করে প্রত্যহ নিজেকে। কেন এই দ্বৈত প্রতিভাস ! কবিতাকে ভেঙে ভেঙে কেটে কেটে যতই গুছোতে যাও কা্রণ অকারণ, অজান্তেই হে পণ্ডিত খুলে যাবে জ্ঞানের বাঁধন। হাতে শুধু মহাকাল দড়ি ফেলে বসে আছে সীমা ধরে গিলে নেবে অসীমের গোলকধাঁধায়। “ধরতে পারলে মন বেড়ী / দিতাম পাখির পায়”… হায়, ধরা নাহি যায়।
৪। এবার আসা যাক কিছুটা আত্ম মন্থনে। অসীমের এই গোলোকধাঁধাঁয় সীমার চক্করে পড়ে ব্যতিক্রমের ব্যতিক্রম হওয়ার জন্য যে দৌড় শুরু হয়েছিলো দিনাঙ্ক অসংরক্ষিত জীবনের হাতমৈথুনের সূচনার দিনগুলোয়, আজ তার অর্থ পাইনা আর, আজ বুঝি অসীমে মেলাবার আগে দু-এক পংক্তি বিস্ময়ভরা বাক্য বা গঠনচিহ্ন থুবড়ে পড়া অবাক্য, কবিতার নামে লিখে ফেলতে পারলে নাভির নিচ থেকে এক খুশি কেমন কিলবিলিয়ে ওঠে। খুশি তোমাকে হতেই হবে, যা কঠোরভাবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এ মহাদেশের প্রাচীন সব মহামহা সৃজকেরা ব্যক্ত করেছিলেন একদম উদোম কন্ঠে, শিল্পানন্দ ব্রহ্মানন্দ সামিল। অর্থাৎ ব্রহ্ম, মানব মনের চরে বেড়ানোর জন্য শঙ্খশুভ্র এক অবাধ ও সীমাহীন বিমূর্ত স্রোত-উৎসব, সসীমকে সে সৃজন করে চলেছে নিত্যই, প্রতিপালন করছে, সসীমের যে লয় তারও কারণ ও আধার সেই বিমূর্তই। সুতরাং ব্রহ্ম নামক সেই মহাবিলীনতাকেই যারা সচেতনভাবে নিজেদের গন্তব্য ও প্রাপ্তি করে তুলেছে, সচেতন আমিতে তাকে ধরার জন্য বা তার সঙ্গে রমণ অভিপ্রায়ে মানব মনে যে পুলক, শিহরণ, আলোড়ণ আছড়ে পড়ে ব্যক্তির রক্তে স্নায়ুতে– শিল্প সৃজনের আনন্দ প্রায় একই রকম। কথাটির অন্যরকম এক তাৎপর্য ঝলসে ওঠে একালের দার্শনিক-সাহিত্যিক জাঁ পল সার্ত্র-এরও কলমে– Suffering is justified as soon as it becomes the raw material of beauty.
জানিনা মাথার মধ্যে পরম্পরা সঞ্চিত কোন মেধা, কোন বোধ নিরন্তর পথ থেকে পথে ছুটিয়ে বেড়ালেও ঝোলা থেকে ফেলতে পারিনি কবিতার জন্য প্রিয়তম লেখার খাতাটি। পারিনি। আঘাতে আঘাতে ছেঁড়াখোঁড়া, অপমান বিদ্রুপে বেসামাল তথাপি যে কুড়িয়ে তুলেছে প্রতিবার প্রতিরাতে একা আমাকে আমাকেই কে সে কবিতা ছাড়া ! প্রতিবার, প্রতিরাত ঘুমে, ঘুমহীনতায় প্রলাপের মত হেঁটে গেছি পংক্তিতে পংক্তিতে, অর্থ খুঁজিনি, নিরর্থ খুঁজছি বলেও অহংকার বুঝিনি, যে আশ্রয় পুনঃপুন আরও এক আত্মহননের রাত অতিক্রম করিয়েছে অনর্থক খুশির প্রসাদে, তাকে আমি কি কোরে বনেদি বাড়ীর সযত্ন রক্ষিত আসবাবের মত বর্ণনা করি, সজ্ঞায়িত করি পৃথুল শব্দসজ্জায়। অবান্তর হে মহাকাল, কার জন্য এতসব সৃজন আয়োজন, কার জন্য ? চারিদিকে গোল্লাময় অন্ধ বাস্তবতা, সীমা থেকে অসীম অসীম। কুকুর ছাগলের মত মানুষ নিধনের নাম মানব সভ্যতা, আমরা তার বকচ্ছপ শিল্পী কবি কলমচি। মুখে স্টিকার, হাত-পায়ে অনন্ত প্লাস্টার শুভতার গান গাইছি বোকাচুকু হয়ে। আর একদল বাটিতে তেল নিয়ে এর তার পায়ে মাখাতে মাখাতে নিজেকে বেচার যোগ্যতায় যোগ্য করে তুলে কবিতানন্দ প্রসব করছে চুমুকে চুমুকে। আমি তো ধুলোবালি। কবিতা কি, কিভাবে বর্ণন করি ? খুব বেশি বলা যেতে পারে কবিতা হুঁ, কবিতা হাঁ, কবিতা উঁহুঁ, কবিতা আহাঁ এইসব। বস্তুত ঢপ, যে লেখে আর যে পড়ে এরা ছাড়া কেউই কিছু নয়। রস একজন ফেনা ভাঙছে, অন্য এক রসিক ধীবর আপন মেধার বৃত্তে উপভোগ করছে তার দ্যুতি। মধ্যবর্তী আর কোনও দাসত্ব দায় নেই। সে অক্তাভিও পাজ বা রলাঁ বার্থ যেই হোক, সবাই বলছে কবিতা এভাবে সেভাবে ওইভাবে নিজেকে প্রকাশিত করে, তবু কবি যেখানে যে আছে চাষের মাঠে, খনির ভেতর, লড়াইয়ের প্রান্তরে, প্রত্যহ লোকাল ট্রেনের ফিরিয়লা, বাজারে মাছ বিক্রেতা, গণিকা পল্লীর দালাল, মোটা মাইনের চাকুরিজীবী বা রাস্তার মোড়ের দাঁতের মাজন বিক্রেতা– এদের মধ্যে যারা লিখছে তারা তাদের নিজস্ব রসায়ন নিয়ে সাজিয়ে তুলেছে কবিতার রান্নাঘর। তা নইলে পাঠক আপনিই বলুন, জমিতে লাঙল দিতে দিতে কেউ গেয়ে উঠতে পারে নিজস্ব সঙ্গীত বা কালোত্তীর্ণ আদি সেই বাংলা কবিতা ”মন রে কৃষি কাজ জানো না / এমন মানব জমিন রইলো পতিত / আবাদ করলে ফলতো সোনা” বলুন পাঠক তত্ত্ব মিলিয়ে কি এমন পংক্তির জন্ম দেয়া যায় !
গোটা পৃত্থিবী জুড়েই একটা মণ্ড বা গোল্লা। যে যেমন পারছে তাকে চিপে যাচ্ছে। আজকের গাজায় যে মানুষের বাচ্চাগুলো মরছে নিষ্পাপ অনাঘ্রাতা ফুল্ল শৈশব কোনও কিছু না জেনেই শব হয়ে যাচ্ছে মানুষের ক্রোধের ও লোভী আগ্রাসনের আগুনে। তারা তো মানব প্রজন্ম, পরবর্তী সহস্র বছর সভ্যতাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায় ছিলো তাদের ওপর। কে তার হিসেব রাখছে ! যে সভ্যতা বিনাশসম্ভবী, তার জন্য আর কবিতার ভাবনা সাপ্লাই দিয়ে বোকা কেলুরাম অনর্থক বোগল বাজাব কেনো ? বরং আমারও প্রশমিত হওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একান্ত প্রণয়ীর মতো হে কবিতা মিশে থাকো আমার প্রতিটি শ্বাসে রক্তে বীর্যে লালায় সমস্ত বিকৃতি ও বিস্ফোরণের যাবতীয় কণায় কানায় স্রোতভুবনের প্রদাহনীল অন্ধ তামাশা ও তমসায়।
কবি পরিচিতি: প্রণব চক্রবর্তী নাটক করতে করতে জীবন শুরু করে সেটাকে গুটিয়ে তুলতে পারেননি অর্থাৎ সেভাবে কেরিয়ার বিষয়ে ভাবার সময় পাননি । কখনও স্কুল মাষ্টারি, কখনও সাংবাদিকতা, কখনও কোল্ড্রিংকসের ব্যবসায় যুক্ত হওয়া ইত্যাদি নানারকম শেষে আপাতত ছাপাখানা। এসবের সঙ্গেই খুব নির্জনে বহন করে চলেছেন কবিতার খাতা। ফাঁকে ফাঁকে বই বেরিয়েছে কিছু । কবিতার গোটা পাঁচেক, কাব্য নাটক, তিনটি উপন্যাস, বাংলা নাটকের বই।
কুড়ি বছর ধরে সম্পাদনা করছেন লিটল ম্যাগাজিন- “ইন্টার্যাকশন ভাষা ও ভাবনার”।