রান্না খাওয়ার বই

যে কোনো সমাজের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ পরিচয় নিহিত থাকে তার রান্নাঘরে। রান্নাঘর মানে কেবল কোনোমতে কিছু খাদ্যবস্তু বানিয়ে নেওয়া তো নয়, সমাজের ভিতরের দিকের যে জ্ঞান, প্রাকৃতিক পরিবেশ, পুষ্টিবিজ্ঞান, রান্নার উপকরণ, রন্ধনের ব্যবস্থা, খাওয়ার লোকের সংখ্যা আর পরিমাণের আন্দাজ, এমনকি মাসের কোন সময়- শুরু না শেষ, এরকম শত কিছু বিষয় হিসেব করে নির্ণীত হয় রান্নাঘরের কর্মসূচি। কয়েক প্রজন্মের অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান ওই পরিসরটির মধ্যে বহমান থাকে। আর, সেই রান্নাঘরেরও শুরুতে থাকে বাজার।

এ কথা সত্যি যে অল্পদিন আগেও বাংলার রান্নাঘরে অনেক কটি বস্তু রন্ধনকারিণীরা সংগ্রহ করতেন বাজারের বাইরে থেকে। বিশেষ করে ভিন্ন ভিন্ন ঋতুর শাকপাতা, ডাঁটা, স্থানীয় কিছু বিশেষ সবজি। কুচো মাছ। কিন্তু শহর যেমন যেমন বেড়ে ওঠে, সেখানকার মানুষরা এই সংগ্রহের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। অথচ পুরোনো স্বাদের আহ্লাদস্মৃতি রয়ে যায় তাঁদের জিভের স্বাদকোরকে। ফলে আশপাশের, এমনকি দূরেরও অঞ্চল থেকে রান্নাঘরের উদ্দেশ্যে ধাবিত হয় পরিচিত কিন্তু অপ্রাপ্য উপকরণগুলি। যে মণ্ডপে এই স্বাদউৎসবের নিত্য প্রদর্শনী চলে, তাকে বলি বাজার।

বাজার অবশ্যই আরও নানারকম হতে পারে- কাপড়ের বাজার, মশলার বাজার, গহনার বাজার, সাহিত্যেরও এমনকি, কিন্তু বাজার বললে প্রথম আমাদের মনশ্চক্ষে যে ছবি ভেসে ওঠে তা তরিতরকারি, শাক, ফল ও মূল, মাছসহ নানা জলজ প্রাণ সাজানো একটি বেশ ছড়ানো জায়গা। নানারকম লোকজনের সমাগম। দিনের বিভিন্ন সময়ে তার ভিন্ন ভিন্ন চেহারা চরিত্র। একই শহরের আলাদা আলাদা বাজারের আলাদা বৈশিষ্ট্য। বাজারের ক্রেতা আর বিক্রেতা যেন আস্ত একটা জনসমাজের ছোট কিন্তু সংহত চেহারা। একই সঙ্গে আগ্রহী চোখের সামনে প্রত্যেকটা চরিত্র আলাদা। কাহিনীময়।

বাজারের এই অন্তর্লীন চেহারা যাঁদের কাছে প্রকাশ পায়, বাজারে যাওয়া তাঁদের কাছে নেশা। আর এ নেশা যাদের নেই, ভিড় কিংবা গরম অথবা লোকের সাথে ‘চেল্লামেল্লি’ যাঁরা এড়িয়ে চলেন, তাঁদের জন্যও ব্যবস্থা আছে। রসিকজনের চোখে দেখা ও চেখে দেখা বিবরণ। এরকম বইয়ের সংখ্যা কম নয়। প্রাতঃস্মরণীয় মুজতবা আলী এমনকি কাবুল তুর্কিস্তানের বাজারেরও যা ছবি দিয়েছিলেন, তাতে পুশতু না জানলেও জান তর হতে বাধা হয় নি। বাঙালি এতটাই বাজারপ্রিয় যে আফগানিস্তানই হোক কিংবা অন্ডাল, শ্যামবাজার কী শিমুলতলা- বেড়াতে যাবার গল্প হলে তার বাজারবর্ণনা থাকবেই।

এসবের বাইরে বাজার নিয়ে কিছু লেখা নিয়মিত বেরোয়। আগে বেরুত, এখন হয়ত মোবাইল ফোনের গুণে সব বাজারে সবজিনিসের দামই ‘ভদ্রলোকের এক কথা’র মত বৈচিত্রবিহীন আর আছে ‘বিগ বাস্কেট’ ‘রিলায়েন্স ফ্রেশ’। তাই বাজারের দাম নিয়ে আলাদা করে মাথাঘামানোর লোক কম। তবু, কিছুদিন আগেও বাংলা দৈনিক কাগজে ‘বাজারের দাম’এর একটা কলাম থাকত যেখানে সেদিনকার সোনার দামের পাশাপাশি আলু, ধনেপাতা, কালোজিরের দাম দেওয়া থাকত। ঠিকই যে সেটা মূলত কলকাতা শহরের বাজারগুলোর দামে- তা কলকাতা ছাড়া কোথায় আর এতোগুলো বাজার। এরকম একটি দৈনিক পত্রিকাতে, বাঙালি পাঠকের অশেষ সৌভাগ্যবশত একটি ‘বাজার সফর’ কলাম লিখতেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাংলা কথাকার শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রাম শহর কোলিয়ারির মাটি আর মানুষকে এমন নেড়ে ঘেঁটে দেখা অদম্য জীবনতৃষ্ণাময় মানুষ যখন হাত দেন তখন বাজার-বিবরণও হয়ে ওঠে ‘ভারতবর্ষের সঙ্গে দেখা’।

বইয়ের নাম- বাজার সফর সমগ্র। ১৯৯৭ সালের মার্চ মাস থেকে অক্টোবর ২০০০ অর্থাৎ অচিকিৎস্য রোগে আক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত লেখা একশ আশিটি রচনার সংকলন এ বই সাধারণ গেরস্থ বাঙালির খাদ্যরুচি আর তার রোজকার বাজারের একটি অভিনব তালিকা নয়, কলকাতা ও তার আশপাশের বাজারগুলির ইতিহাস, ভূগোল, পথনির্দেশসহ কোন দোকানে কী ভালো, এমনকি খাস্তা কচুরি কিংবা রুটি সুজির হালুয়া কোথায় কতো বছর ধরে কারা সবচেয়ে ভালো বানায়, সে সব বাজারে সমাগত ক্রেতা-বিক্রেতা খুঁটিনাটি পরিচয়, তারই মধ্যে দিয়ে চিত্রিত বিচিত্র এক সমাজের নকশিকাঁথা, রাজনীতির বাইরেকার ঘোলা আবর্তের মধ্যেও বিদ্যমান মানুষের সঙ্গে মানুষের নিত্যদিনের সম্পর্ক। আশ্চর্যভাবে একশরীরে ধারণ করে এ বই প্রায় এক ভাবকোশ। তার সঙ্গে আছে প্রতিটি বাজারের খুচরো জিনিসের দাম, যে তালিকা আজ আর্থ-সামাজিক গবেষকের আগ্রহের আকর হবে। আমার মত সামান্য পাঠকের মন উদাস করে দেওয়া স্মৃতিপট।

একবার দেখি, ১৯৯৭ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর, খিদিরপুরের একটি বাজারের বাজারদর- ‘ডিমের জোড়া ২ টাকা ৮০ পয়সা। দু’কেজি সাইজের ইলিশের কেজি ৮০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৭০ টাকা। খুব ভালো কুমড়োর কেজি চারটাকা। যে রসুন অন্য জায়গায় ৫০ টাকা এখানে দেখলাম ১৫টাকা।’ ‘মুসুরি ২৫, মুগ ৩০, সর্ষের তেল ৩৮, ফিনাইল ২২। মিনিকিট ১০, ১১…জ্যোতি আলু ৩টাকা ৫০ পয়সা। মুরগি আস্ত ৪৫ টাকা। বটতলার পাশে বড়খুরিতে ভালো চা দু’টাকা। এটা আগস্ট ‘৯৭। জিঞ্জিরা বাজার। এই তালিকা ধারাবাহিকভাবে ২০০০ সাল পর্যন্ত।

সমস্ত আর্থ-সামাজিক…ইত্যাদি বাদ দিয়েও পড়তে পড়তে এক একবার ভাবি কতো বেড়েছে মানুষের সহনক্ষমতা। সে কথাও আছে বড়ো মনোমোহক তির্যকে- নভেম্বর ’৯৭, ল্যান্সডাউন বাজারের কথা। এই বাজারের একটি বড়ো খবর, মেথিশাক এসে গেছে। এক আঁটি একটাকা। কদিনের ভেতর দাম পড়বে। যেমন কড়াইশুঁটি ছিল ৫০ টাকা কেজি দরে মাত্র কদিন আগে। আজ দেখলাম কড়াইশুঁটি ৩০ টাকায় নেমেছে। আরো নামবে। জলপাইয়ের কেজি ১২ টাকায় নামলেও টক রাঁধতে বড্ড চিনি লাগে। চিনি এখন ১৭ টাকা। রেশানে চিনি গম কিছুই পাওয়া যায় না। আঃ, কতোকাল খাদ্য আন্দোলন হয় না। আবার সেই বাজার নিয়েই, ‘একটা কথায় খুব খটকা লাগছে, ১৯০৫/৭ সালে ল্যান্সডাউন বাজার হয় কী করে! ল্যান্সডাউন রাস্তাটি তো হয়েছে ১৯২০/২১ সনে। অবশ্য ভবানীপুরের গেরস্তরা এই বাজারকে নূতন বাজার বলে থাকেন। কারণ এই বাজার যদুবাবুর বাজারের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট।’ পাঠক নিশ্চয়ই বুঝবেন যে যদুবাবুর বাজার হল ভবানীপুরের বনেদী বাজার।

১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে শ্যামল লিখছেন, ‘পৃথিবীতে দুটি শহর একটি ব্যাপারে অনন্য। একটি হল কলকাতা। অন্যটি জার্মানীর বন। এই দুই শহরের ময়লাজল পাতাল দিয়ে কাছাকাছির নিচু জায়গায়- যাকে বলে ভেড়ি, গিয়ে পড়ে। সেখানে রুইকাতলার ধানিপোনা ছেড়ে দিলে তারা ময়লা খেয়ে জল শুধরে দেয়, নিজেরা খুব তাড়াতাড়ি গতরে বেড়ে দু-তিন কেজির সাইজ পায়। ভোরবেলা বাজারে এসে অকাতরে শহরের বাসিন্দাদের সুস্বাদু প্রোটিন জোগায়।‘ ভাগ্যিস ধাপা বই পড়তে পারে না…!

বাজারের দরদামের তালিকা বহু পুরোন মানুষরাই রোজ লিখে রাখতেন হিসেবের খাতায়। তখন, আজ থেকে মাত্র পঁচিশ-ত্রিশ বছর আগেও মাসকাবারি বাজারের চলন ছিল আর গেরস্থের হিসাবের খাতা। কিন্তু ‘বাজার সমগ্র’ নামধারী এই বইটি আরও যে কত কি ধরে রেখাছে বাজারের থলিতে!

একজন সমর্থ লেখক যখন খনি লেখেন, গ্রামশহর লেখেন, বাজার লেখেন- সব ছাড়িয়ে তা হয়ে ওঠে মানুষের গল্প। তার কেজো পরিচয় ছাপিয়ে সে হয়ে ওঠে সাহিত্যের রসবাহক। এই কাজে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের সমতুল লেখক আমরা খুব বেশিজনকে পাইনি। হাটের মাঠের খনির কী নগরের মানুষের গল্পকে এমন অবলীলায় অথচ গভীর পর্যবেক্ষণে পাঠকের সামনে ধরে দেওয়া। মানুষকে নিরন্তর জুড়তে থাকা অন্যমানুষের সঙ্গে। তার সময়ের সঙ্গে। তাদের সুখদুঃখের সাধারণ জীবনের সঙ্গে।

‘১৯৭৩ সালে একদমকায় পেট্রোলের দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ক’দিন ঘোড়ার গাড়ি চড়ে অফিস করতে গিয়েছিলেন। কাগজে কাগজে ছবি বেরিয়েছিল। তখন হিসেব করে দেখা যায়, এক লিটার পেট্রোল আর এককেজি ছোলার দাম প্রায় একই। মোটরগাড়ি পেট্রোল খায়। ঘোড়া খায় ছোলা। …আসলে দাম বেড়ে যাওয়াটা আমাদের বয়সের মত। কখনই কমে না। ‘আগস্ট ৯৮

এন্টালি বাজারে বড় বড় মাছ কেটে বিক্রি করেন যে একাত্তর বছরের মহিলা, তাঁকে নিয়ে রাত্রে ডায়মন্ড হারবার চলে যায় তাঁর ছেলে। ‘মাছ কিনতে রাত ভোর হয়ে আসে। ফার্স্ট লোকালে শিয়ালদা চলে আসে মায়েপোয়ে। তারপর এই বাজারে বসে যায়।’ আরেকজন ভোরে রিকশা নিয়ে বেরোবার পথে মাকে নানামত সাধারণ সবজি দিয়ে বাঁশদ্রোণী বাজারে বসিয়ে দিয়ে যায়, কাজ শেষে দুপুরে মাকে রিকশায় বসিয়ে ‘গান গাইতে গাইতে ফেরে। মা স্বাবলম্বী। নিজের পয়সায় খান। ছেলেও স্বাবলম্বী। নিজের পয়সায় খায়। দিনে খাটে। রাতে ঘুমোয়।’ ১এপ্রিল। ১৯৯৮

এমনি অজস্র অসংখ্য মুখ, বিভিন্ন বাজারের মেলামেশা ভিড়ের মধ্যে থেকে জেগে ওঠে। হঠাৎ খেয়াল করি, আরে! একে তো দেখেছি আমি, চিনি কতোকাল ধরে। কেবল তার যাওয়া আসার গল্পটা জানতাম না। এইসব স্থানকাল বিজড়িত মুখ পাঠকের মনে বাজার খবরের পাশাপাশি গল্প নিয়ে আসে। মানুষের গল্প। বাজার পুরোন হয়। কাজ মেটে। ফুরোয়। ‘সব বাজারেরই একটা নিজস্ব গন্ধ থাকে। কোথাও খই-বাতাসা জ্বাল দেবার গন্ধ, কোথাও চিনি আর সরষের তেল মিশে যাওয়া এক আজব গন্ধ। এন্টালি বাজারে পাই রেশান দোকান থেকে পাওয়া গমের গায়ের মিহি ধুলোর গন্ধ’। শ্বাস পড়ে পাঠকের। নিঃশ্বাসে এখন সব বাজারেই কাঁচা লোহার ছড় আর সিমেন্টের গন্ধ। নতুন বাজারে সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় ফ্ল্যাটবাড়ি। খই-বাতাসার কী আচারের বা নতুন গুড়ের গন্ধ আসে মনের ভেতর থেকে।

মাসকাবারি বাজার ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগেও বেশিরভাগ বাঙালি গেরস্থ বাড়ির একটা নিয়ম ছিল। বাঁধা আয়ে বাঁধা সংসার চালাতে হত। ছোট ছোট নোটবইয়ে লেখা হত দৈনন্দিন খরচের হিসেব। মাত্র কয়েক দশকে বাজারের সেই নির্দিষ্ট স্থিতির যে সুরক্ষার বোধ, তা আমাদের সমাজ দূরস্থান, পরিবার, প্রতিবেশ থেকেও লুপ্ত হয়ে গেছে। আজ আমরা বাঁচি দৈনিক হিসাবে। ভালো এবং খারাপ, সম্পত্তি আর বিপত্তি- দুইই অনিশ্চিত। শুধু তাই নয়, গুছিয়ে রাখার মানসিকতাও কিছুটা ‘আউট অব ডেট’। যখন যা দরকার হবে আনিয়ে নেব।

যে ‘দিন আনি দিন খাই’কে একসময় দারিদ্রের লক্ষণ বলে মানা হত, এখন তাইই সমৃদ্ধি। আগে ভেবে-রাখার ঝামেলায় না-গিয়ে নেট-এ দেখে কল করে চাইলেই বস্তু ঘরের দরোজায় হাজির। নতুন জীবনযাপনের সুবিধেজনক স্মার্টনেস ক্রমশ মানুষের ভাবনা, আয়াস বা পরস্পর পরিচয়ের বদলে শুধু যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে বেঁচে থাকাকে আঙুলের ডগায় এনে দিয়েছে। অনেকের কাছেই বাজার এখন একটা ধারণামাত্র। নিজের ঘরের মধ্যে, নিজের ভাবনা রুচি পছন্দের মধ্যেই বাজার।

শ্যামল নিজেই হাটকে বলছেন ‘সভ্যতার সঙ্গী’। বহুদর্শী জনের খাঁটি কথা। যখন সভ্যতার চেহারা পালটে গেছে এতখানি, তার হাটবাজারও পালটাবে বৈকি। কিন্তু যা রয়ে যায়, তা হল মানুষের গল্প শোনার আগ্রহ। ‘বাজার সমগ্র’ আসলে এই সাড়ে চারশ পাতা বইটির ছদ্মনাম। এরমধ্যে রয়েছে ঈশ্বরীতলার রুপোকথা, কুবেরের বিষয় আশয়, মহাপৃথিবী-র উপন্যাস কথকের রাশি রাশি গল্প, এমনকি উপন্যাসেরও, কুঁড়ি আর মুকুল।

বাজার সফর সমগ্র, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, প্রকাশক- আজকাল, প্রথম প্রকাশ- কলকাতা বইমেলা – ২০১৮

জয়া মিত্র : কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও অনুবাদক। ভারতের নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। সম্পাদক : সমাজ ও সংস্কৃতি ভাবনার পত্রিকা ভূমধ্যসাগর।

আরও পড়ুন..

চিরকুট একটি মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প-সংকলন

স্বপ্নময় চক্রবর্তীর ছোটগল্প : যন্ত্রণার কথকতা